ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ফের গ্রামবাসীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলাকারীরা বেশ কিছু দোকানপাট, মাদরাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মুনসুরাবাদ এলাকায় পরিবহন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। সে সময় দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনের চালক ভেবে মুনসুরাবাদ এলাকার উত্তেজিত গ্রামবাসী পাশের বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুলকে মারধর করে। পরে হামলাকারীরা জানতে পারে, মারধরে আহত ব্যক্তি গাড়িচালক না। এনিয়ে তখন দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকের বসবেন সিদ্ধান্ত হয়। তারই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ইউপির সামনে বর্তমান চেয়ারম্যান খোকনসহ সাবেক আরও দুই চেয়ারম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে উপস্থিত হন।
সালিশ চলাকালে বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুল উত্তেজিত হয়ে মুনসুরাবাদ গ্রামের মউদুল ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তখন মুনসুরাবাদ এলাকার আশপাশের কয়েক গ্রাম ও বড় মুসকুন্নি এলাকার কয়েকটি গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। গ্রামবাসীরা দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, কালি, টেঁটা, রামদা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সরকারি রাস্তার ইট উঠিয়ে তা নিক্ষেপ শুরু করে। হামলাকারীরা ইউপির জানালা, দরজা, দোকানপাট ভাঙচুর করে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে শত শত দোকানপাট রক্ষা পায়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসআরএস