বরিশাল: বরিশালের কালাবদর নদীতে এমভি প্রিন্স অব রাসেল-৫ লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরার কয়েকটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে দুই জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলে ও স্থানীয়রা লঞ্চে ভাঙচুর, কর্মচারীদের মারধর, মালামাল ও টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধরা নৌ-পুলিশের ওপরও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সোমবার ভোর রাত থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত মেহেন্দিগঞ্জের চর শেফালী লঞ্চঘাট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন হিজলা উপজেলার বরজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বাকীউল্লাহ সিকদার (৪০) এবং একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকের মৃধা (৩৫)।
লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সাইদুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তখন চরশেফালী ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মাস্টার। এ সময় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি হয়। দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, লোকজন লঞ্চে ভাঙচুর ও লুট করেছে। তাকে নামিয়ে একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা না দিলে ওই লোকেরা তাকে জবাই করারও হুমকি দেয়। পরে লঞ্চের যাত্রীরা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। তিনি বর্তমানে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
উলানিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি প্রিন্স অব রাসেল-৫ লঞ্চ চর শেফালী ঘাটে নোঙর করতে গিয়ে মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত কয়েকটি নৌকায় ধাক্কা দেয়।
তিনি জানান, লঞ্চের ধাক্কায় পাঁচটি নৌকা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ডুবে গেছে। এসব নৌকায় থাকা জেলেরা লাফিয়ে নদীতে পড়ে রক্ষা পেয়েছেন। তবে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা চেষ্টা করছেন।
পরিদর্শক ফারুক আরও জানান, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা লঞ্চের কর্মচারীদের মারধর, ভাঙচুর ও লুট করেছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করেছে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসে জনতাকে শান্ত করেন। বর্তমানে লঞ্চ তাদের হেফাজতে রয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প নৌযানে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এমএস/আরএইচ