ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অভ্যন্তরীণ সম্পদে ভিত্তি করলে চলবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অভ্যন্তরীণ সম্পদে ভিত্তি করলে চলবে না

ঢাকা: উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শুধু অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর ভিত্তি করলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ও লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেড।

তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শুধু অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর ভিত্তি করলে চলবে না। আমাদের কৃষি, শিল্প, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও তৈরি করে রফতানি করতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আজকে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। ২০৪১ সালে আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবো।

তিনি বলেন, আমরা যখন উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আজকে যা দুই হাজার ৮২৪ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ উন্নতির পেছনে প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি অবদান কৃষি খাতের। কারণ আমরা কৃষি নির্ভর দেশ।

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি ছিলাম না। আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল মারাত্নক। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য খাদ্য উৎপাদনকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনা করার জন্য সর্বত্র বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে টেকনোলজির উন্নতি করা হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

বাংলাদেশে কৃষি খাতে বিপ্লবের পেছনে প্রযুক্তি বড় ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে বাংলাদেশে ধান, মাছ, সবজি, ফলমূলসহ কৃষি পণ্য উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু এক সময় দেশের অবস্থা এমন ছিল না। এখন দেশে ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল উৎপাদন হয়। তাই আমরা এখন আর শুধু নিজেদের চাহিদা পূরণের চিন্তা করছি না, আমরা ফল প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্ববাজারে বিক্রির চিন্তা করছি।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী-২০২৩ এর আহ্বায়ক মো. ফেরদৌস হোসেন খান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।