ময়মনসিংহ: চ্যান্সেলরের উপস্থিতি ছাড়াই দায়সারাভাবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তন আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন করার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ দেবেশ সরকার বলেন, ১৯৭৩ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তন আয়োজন করে সেই মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমরা এমন সমাবর্তন চাই না।
প্রফেসর ড. জাকির হোসেন বলেন, সমাবর্তনের প্রাণ চ্যান্সেলর। কিন্তু এক্ষেত্রে চ্যান্সেলরকে আনতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।
পদাধিকার বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন চ্যান্সেলর। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত ৬১ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র আটটি সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ছাড়া আমরা অষ্টম সমাবর্তন চাই না। কারণ ময়মনসিংহ রাষ্ট্রপতির এলাকা এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নিজের বলে আমরা মনে করি। এরই মধ্যে তিনি যেহেতু দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন, সেহেতু সময় নিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে আমরা সমাবর্তন চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম এইচ সরকার রিফাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধরে আরও বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা জুয়েনা, শিক্ষার্থী রুহুল কবীর রিয়াদ, ফজলে রাব্বি, তারিক জামান জয়, আব্দুল্লাহ আল বাকিসহ অনেকে। এতে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধন করলেও কিছুই করার নেই। নির্ধারিত তারিখেই সমাবর্তন হবে এবং তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুশাসনেই হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
এসআই