ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নতুন ভবনের ডায়ালাইসিস ইউনিটে লাগা আগুন নেভাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওয়ার্ড মাস্টারসহ আরও বেশ কয়েকজন।
এর কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৌনে তিনটার দিকে নতুন ভবনের চার তলায় ডায়ালাইসিস ইউনিটের প্রবেশের পরপরই হাতের ডানদিকে জানালায় থাকা এসির কম্প্রেসারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে ১০তলা নতুন ভবনে থাকা রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । আগুনের কারণে লিফট বন্ধ থাকায় সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে রোগী ও স্বজনদের নামতে দেখা যায়।
সবাই যখন আগুন আতঙ্কে প্রাণ ভয়ে চিৎকার হুড়োহুড়িতে স্থান ত্যাগ করছিলেন, তখন নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন, চতুর্থ শ্রেণির সভাপতি মো. রমির, দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হানিফ, সুমন ও আকবরসহ আরও অনেকে হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপন সিলিন্ডার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
প্রচণ্ড ধোঁয়া উপেক্ষা করে নাকে-মুখে কাপড় পেঁচিয়ে তাদের আগুন নেভাতে দেখা যায়।
এ সময় হাসপাতলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আব্দুর রউফসহ তার বাহিনীও সহযোগিতা করে।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (এবিএনএ) ঢামেক শাখার সভাপতি কামাল হোসেন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নার্স নেতারা।
আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ব্লক থেকে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালে পরিচালক মো. নাজমুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ আরও অনেকে।
সরকারি পরিচালক আশরাফুল তিনিও নিজে সিলিন্ডার নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলার সহযোগিতা করেন।
ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমি নতুন ভবনের ২য় তলায় ছিলাম। আগুনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভাতে থাকে। এ সময় আমার সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন যোগ দেন। এর কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হযন পরিচালক স্যার ও সহকারী পরিচালকসহ আরও অনেকে। এক পর্যায়ে সহকারে পরিচালক স্যার অগ্নি নির্বাপন সিলিন্ডার দিয়ে আগুন নেভানোর সহযোগিতা করেন। ১২টি অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আমরা আগুন নিভিয়ে ফেলি। তার কিছুক্ষণ পরেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসেন।
>>> পড়ুন ঢামেক চত্বরে আগুন: ছড়িয়ে পড়ার আগেই নেভানো হলো
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ