বগুড়া: তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে নিখোঁজ বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকু ৷
এদিকে ছেলের সন্ধানে প্রহর গুনছে বাবা-মাসহ স্বজনরা। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
রিংকু বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দেওনাই গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রিংকুর ছোট ভাই রিফাত হাসান তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিফাত বলেন, ‘বড় ভাই ২০১১ সালে কাগইল করুনাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর তুরস্কে চলে যান। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে চাকরিতে প্রবেশ করেন। ভাই সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশে এসেছিলেন। ’
রিফাত আরও বলেন, ‘ভাই রিংকু ও নূরে আলম নামে আরেকজন যে ভবনে থাকতেন সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। নূরে আলম ভবন থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও রিংকু ভাইয়ার খোঁজ নেই। কোনোভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ’ এই খবর গতকাল সন্ধ্যায় বাড়িতে জানানো হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পর থেকে যোগাযোগ করতে পারেনি রিংকুর পরিবারের লোকজন। রিংকু বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তাও তারা জানেন না। তার বাবা-মা সন্তানের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। নিখোঁজ ছেলের জন্য বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার সন্ধানে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন নিখোঁজ রিংকুর বাবা-মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
কেইউএ/এএটি