ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়ক যেন ছেঁড়া কাঁথার জোড়াতালি, ক্ষুব্ধ কাদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
মহাসড়ক যেন ছেঁড়া কাঁথার জোড়াতালি, ক্ষুব্ধ কাদের  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: জিএম মুজিবুর 

ঢাকা: সড়ক-মহাসড়কের মান নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

তিনি বলেন, ফোরলেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে, এই ফোর লেন করে লাভ কী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে।

এজন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেঁড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে?

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।  

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজের মতো কাজ করতে হবে। কোয়ালিটির বিষয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে। আমাদের রাস্তুাগুলোকে রক্ষা করতে হবে।

লোড কন্ট্রোল স্থাপন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাদের বলেন,  ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন হওয়ার কথা। কিন্তু এটা কবে হবে কেউ জানে না। আমরা রাস্তাগুলোকে রক্ষা করতে পারছি না। কিছুদিন পরে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। রাস্তা রক্ষা করতে যা দরকার তা করতে হবে। ২৮টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট ফোর লেন সড়কে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এডিবি ও সরকার মিলে কাজটি করছে। ভালো ঠিকাদার এই কাজ পেয়েছে, সময়মতো শেষ করবে বলে আশা করি।

মহাসড়কগুলোর বেহাল দশা নিয়ে কাদের বলেন, সওজের প্রধান প্রকৌশলী এলে তাকে প্রথমে বলি আপনার প্রধান কাজ সড়ক রক্ষা করতে হবে। এক্সেল লোড কন্ট্রোল মেশিন স্থাপন করতে হবে। নবীনগর-চন্দ্রার কী অবস্থা একেবারে বেহাল অবস্থা। আমি যা দেখছি তাই বলছি। এসব নিয়ে দরকার হয় সেমিনার করেন। আমরা যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই তবে স্মার্ট রাস্তা দরকার। নতুন সড়ক দরকার নাই, বিদ্যমান সড়ক স্মার্ট করতে হবে। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ করবো কোয়ালিটি বজায় রেখে। এই মুহূর্তে সড়কের নতুন প্রকল্প দরকার নেই।

চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।  

সড়কের মান যথাযথ না হওয়ার পরেও কেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলেই কী ঠিকাদার দায়ী তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না কে দায়ী রাস্তা নাকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান! 

রাস্তার সমস্যা হলে দায় তো সড়ক বিভাগের এমন প্রশ্ন করা হলে এ সময় কোনো উত্তর দেননি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাসেক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম ফজলুল করিম ও প্রাণ-আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এনবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।