জামালপুর: মেলান্দহের টগারচর গ্রামে শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেন মেয়ের জামাই আসাদ মিয়া (২৮)।
এ ঘটনায় খুনি জামাতা আসাদকে (২৮) বুধবার বিকেলে জামালপুরের মেলান্দহের টুপকার চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার আসাদ মিয়া টুপকার চরের রইজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
পরে র্যাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিস্তারিত জানানো হয়।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আসাদ শাশুড়ি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন আসাদ।
র্যাব জানায়, গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ পড়তে যান সুরাইয়ার স্বামী আজিজুল হক। নামাজ শেষে ৬টার দিকে গরু বের করার জন্য গোয়ালঘরে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীর গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। সকাল ১০টার দিকে মেলান্দহ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্বামী আজিজুল হক বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুধবার বিকেলে আসাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসাদ জানান, নিহতের মেয়ে রোকিয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত আসাদের। ওই কলহের জেরে শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এসএএইচ