বরগুনা: বরগুনার তালতলী থানায় উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা রায়হান তালুকদারের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা।
আসামি হলেন-বরিশাল কোতোয়ালি থানার বামনকাঠি গ্রামের রায়হান তালুকদার। তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী থানায় উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। বাদী ও আসামি এক সময় বরগুনা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখাতে (ডিবি) থাকাকালীন অবস্থায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। একই স্থানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ট হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা রায়হান তালুকদার। আসামি বাদীর দুই সন্তানসহ তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই নারী কর্মকর্তার। বাদীর স্বামী ভোলার সিআইডিতে কনস্টেবল পদে চাকরি অবস্থায় ২০২১ সালের ১২ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালীকে ৭ দিনের মধ্য অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী বলেন, আসামি রায়হান আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৭ লাখ টাকা নিয়েছে। তারপরও রায়হান বিভিন্ন সময় ওই সব ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ রায়হান গত বছর ২৪ অক্টোবর রাত ১১টায় বরগুনা চরকলোনীতে আমার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আমি রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে বললে রায়হান অস্বীকার করে চলে যায়। তারপরও আমি রায়হানের সঙ্গে বহুবার কথা বলে বিয়ে করতে বলেছি। রায়হান রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে রায়হান তালুকদার বলেন, বাদীর মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাদী আমার চেয়ে বয়স ও সার্ভিসে সিনিয়র। আমি তার কাজে সহায়তা করতাম। আমার স্ত্রী ও সন্তান আছে। আমার সঙ্গে বিয়ে বসতে চেয়েছে বাদী। আমি বিয়ে করতে রাজি হইনি। এ কারণে আমার মানসম্মান নষ্ট করতে মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসআইএস