ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই বাংলার শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ‘রিদম অব লাইফ’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
দুই বাংলার শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ‘রিদম অব লাইফ’ 

যশোর: কাঁটা তারের বেড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখাকে পৃথক করলেও দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতিতে ছেদ ঘটাতে পারেনি। ভাষার মাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে যশোরে আয়োজন করা হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের আঁকা ছবির যৌথ প্রদর্শনী ‘রিদম অব লাইফ’।

এতে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।  

রং তুলির আঁচড়ে শিল্প-সংস্কৃতির আবেগ, ভালবাসা ফুটিয়ে তুলছেন দুই বাংলার শিল্পীরা। এই উদ্যোগ দুই দেশের শিল্পচর্চা ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য ফাউন্ডেশন, স্বনাধীতি ও এস্থেটিক আর্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে যশোর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আর্ট গ্যালারিতে দুইদিনের যৌথ কর্মকশালা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার ক্যানভাসে তুলির আঁচড় দিয়ে 
এই প্রদর্শনির উদ্বোধন করেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। উদ্বোধকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধন কখনোই ছিন্ন হওয়ার নয়। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধ করে আমাদের অর্জন মহান স্বাধীনতা। সেই মুক্তিযুদ্ধে ছিল ভারতের সর্বাত্বক সহযোগিতা। তাই আমাদের মধ্যেকার বন্ধন ঐতিহাসিক।  

শিল্পী আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সহ-সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু  ও শিল্পী  বিকাশ চন্দ্র।  

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কর্মশালা ও ত্রি প্রদর্শনীতে দুই দেশের ২৪ জন চিত্রশিল্পী অংশ নিয়েছেন।  

ভারতের শিল্পীরা সুর মিলিয়ে বলেন, দুই বাংলার মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাসের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কাঁটা তারের বেড়া দুই দেশকে বিভক্তি করলেও আত্মিক সম্পর্কে ছেদ ঘটেনি।  

ছবির প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া কলকাতার তপন কুমার দাস নামে এক শিল্পী বলেন, ভাষার মাসে এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুশি দুই বাংলার শিল্পীরা। দুই দেশের শিল্পীদের মিলনমেলায় শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার আরও বেগবান হবে।  

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় শিল্পীরা হলেন রেশমি মুখার্জি, তপন কুমার দাস, শাশ্বতী বোস, রণিতা দেব, পার্থ সারথী দত্ত, অলোক কুমার সরকার, শ্যামল কুমার নাথ, দেবাশিষ মাইতি,  বিজয় দত্ত, নীলকান্ত মন্ডল, সর্বজিৎ রায়, মিনু দে, শেখ ইকবাল হোসেন ও স্বপন সরকার।  

বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন, লাফিজা নাজনীন, ওবায়েদ জাকীর, অহিদুজ্জামান চাকলাদার মুকুট, নিখিল দাস, চঞ্চল সরকার, কৃষি গৌতম, সজল ব্যানার্জি ও রফিক উল্যাহ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
ইউজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।