ঢাকা: গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। এই গণহত্যায় জড়িতদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির প্রসিডেন্টের বিশেষ দূত মামাদু তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে গাম্বিয়া বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সে কারণে আমরা এই ইস্যুতে অ্যাডভোকেসি করছি। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমে শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে গাম্বিয়া।
তিনি বলেন, শান্তি সুরক্ষায় শান্তি রক্ষা মিশনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। এটি খুব ইতিবাচক। কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বজুড়ে সঙ্কট চলছে। আর এই সঙ্কট থেকেই প্রমাণিত হয়, আমরা গ্লোবাল ভিলেজে রয়েছি। আমরা একযোগে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণ চাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে মামাদু বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত- আইসিজেতে গাম্বিয়ার মামলা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। কেননা এটি আমাদের দেশের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গাম্বিয়া আইসিজেতে মামলা করে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা আশা করি, একসময় এই বিচার শেষ হবে, রায় আসবে। আন্তর্জাতিকভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শেষ হবে। আসুন আমরা গণহত্যা বন্ধে একসঙ্গে কাজ করি। গাম্বিয়ার অবস্থান আমাদের হৃদয়ে থাকবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভূমিকা রাখার জন্য।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই সহানুভূতি দেখাচ্ছে। তবে কেউ ফেরাতে যথাযথ সহায়তা করছে না। মিয়ানমারের ওপর অনেক দেশ নিষেধাজ্ঞা দিলেও ঠিকই ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বিনিয়োগ করছে। বহুপক্ষীয়ভাবে এই ইস্যুর সমাধান করতে হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক ইসলাম শাতিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
টিআর/আরএইচ