ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্যান্সার হাসপাতালে আনসার সদস্যরা মারধরের শিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
ক্যান্সার হাসপাতালে আনসার সদস্যরা মারধরের শিকার

ঢাকা: জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন।  

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আহত আনসার সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতরা হলেন- শামীম, আরিফুল, সুজন রাসেল, মনির, ওবায়দুলসহ আরেকজন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে আহতরা জানিয়েছেন তাদের মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের লোকজন মারধর করেছেন। তারা ওই হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত।

এদিকে আহত ওবায়দুল বলেন, মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার হাসপাতালের দোতলায় প্রশাসনিক ব্লকে ডিউটি করার সময় একজন আমাকে বলেন ‘এখানে তুই বুট পায়ে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি আমাকে থাপ্পর মারেন। পরে যতটুকু জানতে পেরেছি তিনি একজন ডাক্তার, তার নাম শাহাদাত। পরে এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য আমাদের হাসপাতালের আনসার প্রধানকে নিয়ে আজকে সকালে প্রশাসনিক ব্লকে গেলে স্টাফসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক আবারও আমাকেসহ কয়েকজনকে মারধর করেন। এতে আমিসহ শামীম, আরিফুল, সুজন রাসেল, মনিরসহ আরেকজন আহত হই। পরে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি হাসপাতাল থেকে।

এ বিষয়ে ক্যান্সার হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসারদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মাহফুজুর রহমান বলেন,মঙ্গলবার প্রশাসনিক ব্লকের দোতলায় আমার আনসার সদস্য ওবায়দুল ডিউটি করছিলেন। এ সময় এক লোক তাকে বলেছেন বুট পায়ে এখানে তুই কি করিস। এক কথায় দুই কথায় পরে ওই আনসার সদস্যকে তিনি থাপ্পর মারেন। যতটুক জানতে পেরেছি তিনি একজন ডাক্তার, নাম তার শাহাদাত। পরে আজকে সকালে প্রশাসনিক ব্লকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফোন দিয়ে আমাকে বলেন, আপনারা প্রশাসনিক ব্লকে আসেন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। পরে ওবায়দুলসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওখানে গেলে স্টাফসহ অন্যান্যরা আমাদের আনসারদের মারধর করেন। এতে তারা আহত হন। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার সময় পরিচালক নিজামুল হক উপস্থিত ছিলেন না। পরে পরিচালক খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এদিকে ক্যান্সার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে দুই/একজন লোকের ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংস করা হয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের এক ডাক্তার ও স্টাফরা আনসার সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা বিষয়টি মীমাংসা করেছেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।