ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের বাসা- ২/এ ভবনটিতে ফায়ার এলার্মসহ অগ্নি নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই ছিল। কিন্তু অনেকে মিস অ্যালার্ম ভেবে নামেননি।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভবনটির ১০ ও ১১ তলায় থাকতেন নিউ এজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ ইব্রাহিমের পরিবার। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম হয়েছে। যারা নিচের দিকে ছিল তারা নেমেছে। আগুন লাগার পরে প্রত্যেকেই যদি সিঁড়ি দিয়ে বের হয়ে যেতো তাহলে সবাই নিরাপদ হয়ে যেতে পারতো। অনেক সময় ভুল অ্যালার্ম হয়। যারা বাসায় ছিল তারা মনে করেছিল ভুল অ্যালার্ম হয়েছে। যখন তারা দেখেছে আগুন এবং নিচ থেকে বলছিল আগুন লেগেছে সবাই নেমে যান তখন যে যতটুকু পারছে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য সব ব্যবস্থাই ছিল। ভবনে অগ্নি নির্বাপন প্রশিক্ষণের একটি টিমও ছিল তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। প্রত্যেক বাসায় সচেতন করেছে।
দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পুরো ভবনটিতেই কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। প্রতি বাসায় সেখান থেকে সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। এসির লাইনে প্রত্যেক বাসায় ধোঁয়া গেছে, আতঙ্ক ছড়ায় তবে সব ফ্লোরে আগুন কিন্তু যায়নি। ধোঁয়ার জন্যই বেশি সমস্যা হয়েছে। আর আগুন উপরে দুইদিক থেকে বেশি হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউ এজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ ইব্রাহিমের ১০ ও ১১ তালা পুড়ে গেছে। আমি সব ফ্লোরে গিয়েছি তবে অন্যান্য ফ্লোরে মূল দরজা বন্ধ আছে।
একটি ভবনের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ভবনটিতে নিজস্ব ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ডিটেকশন সিস্টেম ফাংশোনাল ছিল। ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট বা ডোরও ছিল। রাজউক থেকে যে সার্টিফিকেট দেয় সেটাও নেওয়া আছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান ২-এর ওই ভবনের সাততলায় আগুন লাগে।
প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট।
এ ঘটনায় ভবন থেকে শিশু ও নারীসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। পরে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এমএমআই/জেএইচ