গাজীপুর: দেশের কারাগারগুলোকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করে সংশোধনাগারে পরিণত করা একান্তই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় চারটি কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা অপরাধের কারণে কারা অন্তরালে রয়েছে তিনি মৃত্যুদণ্ডের আসামি হোক, তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আসামি হোক অথবা তিনি সাময়িকভাবে কারাগারে থাকুক। তিনি যাই থাকুক তার একটা পরিশোধনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। যাতে করে তিনি পরিপূর্ণ অনুশোচনা নিয়ে তার ভুল সম্পর্কে ভালো করে জেনে তারপর জেল থেকে বেরিয়ে যান। তিনি যাতে মানুষের জন্য আবার কাজ করেন। সেই পরিশোধন তার একান্তই প্রয়োজন। সে ধরনের ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে বলে আমার মনে হলো কাশিমপুর কারাগারে। সেই ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের করা উচিত বলে আমার মনে হয়।
এসময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, পরিচালক আশরাফুল আলম, উপ-পরিচালক কাজী আরফান আশিক ও এম রবিউল ইসলাম এবং কাশিমপুরের চারটি কারাগারের জেল সুপারসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সার্বিকভাবে আমরা দেখেছি যে, কারাগারের ব্যবস্থাপনা ভালো। কারা কর্মী ও কারা কর্মকর্তারা অন্তত মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে। সেটি আমাদের জন্য পছন্দনীয় মনে হলো এবং মানবিক দিকটি অক্ষুন্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, এখানে সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলিং করা সাইকোলজিষ্ট ইত্যাদির খুবই অভাব রয়েছে। নেই, বলতে গেলে। এখানে পদ রয়েছে কিন্তু নেই। ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে। কাশিমপুরে চারটি কারাগারের প্রত্যেকটি হাসপাতালে আমি গিয়েছি। সেখানে দেখেছি ব্যবস্থাপনা মোটামুটি ভালোই কিন্তু বিল্ডিং পুরনো। অনেকস্থানে বিল্ডিংয়ের পলেস্তা খসে পড়েছে। ড্রেনেজ কোথাও কোথাও ভালো, কোথাও খারাপ।
কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
আরএস/এসএ