ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দ্রুত আগুন নেভাতে যাওয়ার বাধা যানজট’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
‘দ্রুত আগুন নেভাতে যাওয়ার বাধা যানজট’

ঢাকা: কোথাও আগুন লাগার পর নেভাতে যেতে চাইলে যানজটের কারণে দেরি হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগুন নেভানোর জন্য আমরা যত পানির উৎস তৈরি করব ততই আমাদের জন্য ভালো।

আমরা যেখানেই আগুন নেভাতে যাই প্রথমে একটি সমস্যায় পড়ি- সেটা হলো যানজটের কারণে আমাদের দেরি হয়।  

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তিতে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতামূলক মহড়া’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকার মানুষকে আগুন লাগার পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট যেন তারা লড়াই করতে পারে সেই প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিক অবস্থায় সবাইকে আমাদের আগুন নেভানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সেজন্য আপনারা নিজে নিজে চিন্তা করেন কিভাবে আগুন লাগার পর ১০ মিনিট আপনারা আগুনের সঙ্গে লড়াই করবেন। এটা আপনাকে চিন্তা করতেই হবে, আর এ বিষয়টি আপনাকে পারতেই হবে। আপনি শিক্ষিত হন আর অর্ধশিক্ষিত হন- এই বিষয়টি চিন্তা করার জন্যে বেশি শিক্ষিত হতে হবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা ইনিশিয়াল ফায়ার ফাইটিং করবেন। পাশাপাশি আপনারা অপেক্ষা করবেন আমরা ইনশাল্লাহ সময় মতো পৌঁছে যাব।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) বলেন, আমাদের যে অগ্নি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে সেটাকে মজবুত করব। আপনাদের বাসা বাড়িতে যেসব দাহ্য পদার্থ থাকে সেগুলো দূরে দূরে রাখার অথবা সাজিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।  

তিনি বলেন, যদি কোনো বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে তবে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায় তবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে এটাকে আলাদা করে দেওয়া। আপনাদের মাথায় রাখতে হবে আগুন লাগার পরপরই একটি ব্যারিকেড তৈরি করতে হবে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। এই বেরিকেট তৈরিটা আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।  

পানির সোর্সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর পরেই আমরা সাধারণত পানির সোর্স পাওয়া নিয়ে বড়ই সমস্যায় পড়ি। ঢাকা শহরে আমাদের বিদ্যমান যেসব পানি প্রাপ্তির উৎস রয়েছে সেগুলো আমরা আগে থেকে চিহ্নিত করে রাখবো। কারণ আগুন কোথায় ধরবে আমরা কেউ জানি না। আমাদের আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি সোর্স তৈরির কাজও করতে হবে। সোর্স না থাকলে তা তৈরি করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন আগুন নেভানোর জন্য যাই এবং চলে আসি তখন আমরা ভিড়ের কারণে কাজ করতে পারি না। এটা সবাইকে বুঝতে হবে ভিড়ের কারণে আমাদের ভালোভাবে কাজ করতে সমস্যা হয়। অনেক কাজ ব্যাহত হয়।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল মান্নান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমএমআই/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।