ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে থানার এএসআইসহ গ্রেফতার ৫

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে থানার এএসআইসহ গ্রেফতার ৫

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, দুটি হ্যান্ডকাপ ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রাম থেকে  গ্রেফতার করার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে তাদের  গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের আব্দুল আলিম সানার ছেলে পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেন (৩০), পিরোজপুর সদর থানার পান্তাডুবি গ্রামের রহম আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদার (৩৩), একই থানার চরলোহারকাটি গ্রামের ইউনুচ মৃধার ছেলে আবুল কালাম মৃধা (৩৫) ও গাড়ী চালক পূর্ব শিকারপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২)।

এছাড়া সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মৃত গণি মিস্ত্রীর ছেলে নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেন তার তিন সঙ্গীকে নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রওশন আলী মোল্যার ছেলে আশিকুর রহমান ওরফে আশিকের বাড়িতে যায়। এ সময় নিজেকে ঢাকার সাইবার ক্রাইমের একজন র‌্যাব অফিসার পরিচয় দিয়ে অনলাইনে জুয়ার ব্যবসা করার অভিযোগ তুলে আশিকের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।  

দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে এএসআই রুবেল হোসেন তার কাছে থাকা হ্যান্ডক্যাপ বের করে গ্রেফতারের জন্য আশিকের হাতে লাগানোর চেষ্টা করে। এসময় সন্দেহ হলে গ্রামবাসী এএসআই রুবেল হোসেনসহ তার অপর তিন সঙ্গি মনির হোসেন, সাহেল শিকদার, কালাম মৃধা ও গাড়ী চালক সাইফুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

গণপিটুনি শেষে একপর্যায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে আশাশুনি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত একটি এক্স করোলা প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ, ১৯-৬৩৯০)।  

পরে শনিবার সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে খোয়া যাওয়া দু’টি হ্যান্ডক্যাপ ও ৮ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ গ্রামবাসী এএসআই রুবেল হোসেনসহ পাঁজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এঘটনায় আশিকুর রহমান বাদি হয়ে আটক ৫ জন সহ একজনকে পলাতক দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৬। এঘটনায় ২টি হ্যান্ডক্যাপ, একটি রিভলবর ও ৮রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগজিন এবং আসামীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আসামিদের সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।