নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার মামলার ৩ নম্বর আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
তিনি বলেন, হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি মামুনকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার আরেক আসামি মোর্শেদা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দুপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সামসুন নাহারের দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত দুজন হলেন- পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে আসলাম সানি (৪৮) ও ছোট ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম রনি (৩৫)। এ ঘটনায় তার মেজ ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোস্তফা (৪০), মামুন হোসেন (৩৫), মফিজুল ইসলাম (২৫), মারুফসহ (১৮) তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত দুজনের স্বজনরা জানান, আসলাম সানী ওই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক আতাউর রহমানের কাছ থেকে তিন শতাংশ জমি কেনেন। এ জমিসহ পাশের আরও একটি জমি দাবি করেন তার চাচা মহিউদ্দিনও চাচাতো ভাই মোস্তফা, মামুন এবং মারুফ। এ নিয়ে আসলাম, রনি ও রফিকুলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের জমির পাশ দিয়ে সরকারি অর্থায়নের তিন লাখ ১১ হাজার ২৪১ টাকা ব্যয়ে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় খাসপাড়ার আলী হোসেনের বাড়ি থেকে হারুনের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ড্রেন মহিউদ্দিনের জায়গার ওপর দিয়ে যাচ্ছে এমন দারি করেন তিনি। এ নিয়ে চাচা মহিউদ্দিনের সঙ্গে আসলামের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই মোস্তফার নেতৃত্বে আসলাম ও রনি এবং রফিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে আসলাম ও রনিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত রফিকুল বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
এমআরপি/এসএ