ঢাকা: ‘ভাই আমার ছোট ভাইরে বাঁচান, ও ভবনের নিচে আটকা পড়ছে। সেনাবাহিনীকে বলেন- একটু খুঁজতে’ -বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে নিখোঁজ মেহেদি হাসান স্বপনের বড়ভাই তানভীর হাসান সোহাগ।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থলে এসে এসব কথা বলছিলেন বড়ভাই সোহাগ।
তিনি জানান, তার ছোটভাই স্বপন বিস্ফোরণ হওয়া ভবনে ‘বাংলাদেশ স্যানিটারি’ নামে একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর জেলার সোনাইমুড়ী থানার বজরা এলাকায়।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিস্ফোরণের পর থেকেই স্বপনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে মোবাইলফোনও।
নিখোঁজ স্বপনের শ্বশুর আব্দুল মান্নান বলেন, স্বপন স্যানিটারি দোকানটির ম্যানেজার ছিল। স্বপন সঙ্গে আরও দুইজন ছিল, তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু স্বপনকে এখনও পাওয়া যায়নি। গতকাল রাত থেকে সে নিখোঁজ। স্বপন প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করছেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে।
এদিকে, বুধবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর উদ্ধার কাজ শুরুর কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি। ঘটনাস্থল নিরাপত্তা বেস্টনি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গতকাল ৭ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এলাকায় সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত ও অন্তত দেড় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন...
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা
পরিচয় মিলেছে নিহত ১৭ জনের
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
বিল্ডিংটি এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ, অভিযান চলবে: ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বিএনপি
সিদ্দিকবাজারে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৩
এমকে/এসআরএস