ঢাকা: ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণস্থলে আরও মরদেহ আছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) আখতারুজ্জামান।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেজমেন্ট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধারের পর এ কথা জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) আখতারুজ্জামান বলেন, দুপুরে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে বিস্ফোরিত ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিই। ভবনটির একদম বেজমেন্ট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজন নিখোঁজ বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ভবন ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে।
তিনি বলেন, রাজউক ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন। এরপরও আমরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে একদম ম্যানুয়ালি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি আরও বলেন, অভিযানকালে আমরা দেখেছি, ভেতরে অনেক মাছি। তখন আমরা র্যাবের ডগ স্কোয়াডকে সেখানে ডাকি। র্যাবের ডগ স্কোয়াড সেখানে বারবার হাঁটাহাঁটি করে। তখন আমরা ধারণা করি, ওখানে মরদেহ থাকতে পারে। তখন আমরা একটি একটি করে ইট সরিয়ে সম্পূর্ণ ম্যানুয়ালি মরদেহ দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তিনজন নিখোঁজ। এরমধ্যে আপনারা দেখতে পেলেন যে, আমরা দুজনেই মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখন আমরা মালিক সমিতি, ভবন মালিক ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলব। ক্রস চেক করব আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না। থাকলে উদ্ধারে চেষ্টা করা হবে।
পরবর্তী উদ্ধার অভিযান কীভাবে পরিচালিত হবে- জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা এখন তদন্ত কমিটির প্রধান ডিরেক্টরের (অপস) সঙ্গে বসব, বসে প্ল্যান করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আমরা উদ্ধার অভিযান বন্ধ করিনি। তবে আমরা কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করতে পারিনি। শুধু লক কাটার ব্যবহার করতে পেরেছি।
ভবনের ভেতরে ধ্বংসস্তূপে অস্বাভাবিক কিছু দেখেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ধ্বংসস্তূপ, ধুলাবালি, ধোঁয়া দেখেছি। বিস্ফোরণের কী কারণ হতে পারে, তা তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাবে।
মঙ্গলবার বিকালে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
এমএমআই/আরএইচ