ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবো: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবো: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশ আর স্বল্পোন্নত দেশে থাকছে না। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি কাতারে ছিলাম। সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণে সম্মেলন হয়। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আছি। তবে এবারই আমাদের শেষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দেওয়া। আমরা আর স্বল্পোন্নত দেশে থাকছি না। আমরা উন্নত মধ্যম আয়ের দেশে গ্র্যাজুয়েট হতে চলেছি। আর মাত্র তিন বছর, ২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবো।

আলোচনা সভায় রোজার উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সংযমী হতে আহ্বান জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে। ধর্ম বলেছে সংযমী হতে, নিজেকে কন্ট্রোল করতে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলতে চাই, অন্তত এই মাসটায় একটুখানি সংযমী হওয়া দরকার। আপনারা দয়া করে যেটি ন্যায্য হওয়া উচিত সেটাই করবেন। আমরা আপনাদের সারাদিন ধরে পাহারা দিয়ে রাখতে পারব না। তারপরও আমরা চেষ্টা করব। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন দিয়ে গেলাম, আপনার যেটা ন্যায্য হয় সেটা করবেন।

এ সময় সারা পৃথিবীর মানুষ উৎসব-আনন্দের দিনগুলোয় মানুষকে সুযোগ দেয়, যাতে তারা সাশ্রয়ী দামে জিনিসপত্র কিনতে পারে। বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। কোথাও দেখলেন একটি মোটরসাইকেল অর্ধেক দামে দেওয়া হচ্ছে। আর আপনারা সেখানে ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন। মোটরসাইকেলের একটা ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট আছে, এটা আপনাদের বুঝতে হবে। একটা মোটরসাইকেলের কস্ট যদি এক লাখ টাকা হয়। আর সেলিং প্রাইস যদি ২০ হাজার টাকা হয় তাহলে সেটি ৬০ হাজার টাকায় কোথা থেকে দেবে? ওটা মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য লোভ দেখাচ্ছে। দিন শেষে তারা মানুষকে ঠকাবে। আপনারা চটকদার বিজ্ঞপ্তি দেখে আকৃষ্ট হবেন না।

ভোক্তা অধিকার দিবস সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে যদি আমরা ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারি। ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে পারি। আমরা সবাই জানি ২০০৯ সালে এ আইন পাশ হয়েছে। ২০১০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অধিদপ্তরে কাজ শুরু করে। গত এক যুগে আমরা যতটুকু এগিয়েছি, সেটা এখনো পরিপূর্ণ নয়। আমাদের লোকবল কম। আমরা খুব করে চেষ্টা করছি, যাতে এটা নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

আলোচনা সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।