ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়ন্ত্রণহীণভাবে ভবনের মিশ্র ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
নিয়ন্ত্রণহীণভাবে ভবনের মিশ্র ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকি

ঢাকা: নিয়ন্ত্রণহীণভাবে ভবনের মিশ্র ব্যবহারে জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।  

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ‘নগরে নাগরিকদের বসবাস ঝুঁকি ও জীবনের নিরাপত্তা: নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নগর সংস্থাসমূহের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা থেকে এ কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।

এতে তিনি বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগর এলাকায় অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ, বসবাস ঝুঁকির পেছনে নিরাপদ পরিসেবা প্রদানে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর নজরদারির অভাব, শহরের একই ভবনে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভবন মালিক, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পরিসেবা ও বসবাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত যথাযথ উদ্যোগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব, গাফিলতিতে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথ শাস্তি না দিয়ে দায়মুক্তির চর্চা, বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণের গাফিলতি ও উদাসীনতার দায় আছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ জনবহুল ও অতি ঘন শহরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার যে ধরনের মানদণ্ড অনুসরণ করতে হয়, তার অনুপস্থিতি বহুলাংশে দায়ী।

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীণভাবে ভবনের মিশ্র ব্যবহারের কারণে একই ভবনের বিভিন্ন তলায় রেস্টুরেন্ট, রাসায়নিক বা বিভিন্ন দাহ্য বস্তুর গুদাম, শিল্প-কারখানা ও আবাসিক বসবাস। সব মিলিয়ে যে কোনো মূহূর্তেই যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির ভয়ানক শঙ্কা আছে। জলাশয়-জলাভূমি ভরাট করে এবং ইমারত নির্মাণের আইন ও বিধিবিধান উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ হয়েছে। এসব ভবনে বসবাসকারীরা ভূমিকম্প বা ভূমিধ্বসসহ যে কোনো দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) মনে করে, নগরের বসবাস নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগর সংস্থা, নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবার সম্মিলিত দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।   আমাদের সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাগুলো নির্মোহ তদন্তের মাধ্যমে করণীয়গুলো ঠিক করতে পারলে এ ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ভবিষ্যতে এড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে নগর সংস্থা ও নাগরিকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ সরকার ও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, প্রকৌশলী ড. ইয়াসির আরাফাত খান, আইপিডির পরিচালক ড. চৌধুরী জাবের সাদেক, আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।