বরগুনা: বরগুনায় খাকদোন নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরের দিকে বরগুনা পৌর মাছবাজার এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা, সংস্থাপন শাখা) জাহিদুর রহমান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বরগুনার শাখার সভাপতি মুশফিক আরিফ বলেন, খাকদোন নদী দখলমুক্ত করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা বিভিন্ন মানুষের দ্বারস্থ হয়েছি। সবশেষ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর বাংলানিউজকে বলেন, খাকদোন নদীর পৌর মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে তীর দখল করে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশে অবৈধ ৪৩টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে নির্দেশে এ খালের পূর্ব পাশের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বরগুনা শহরের খাকদোন নদী থেকে পায়রা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালটি স্থানীয়ভাবে ভাড়ানি খাল নামেই পরিচিত। বরগুনা জেলা শহরের প্রধান বাজারের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা এই খালটির দু’পাড়ে দীর্ঘ বছর ধরে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। ফলে খালটি সংকুচিত হতে হতে এক সময় নাব্যতা হারায়। অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্যের কারণে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় নৌ যোগাযোগ। ২০১৮ সালে খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
মামলা দায়েরের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ভাড়ানি খালের দুই পাড়ের দু’কিলোমিটার অবৈধ দখল উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর বরগুনা জেলা প্রশাসন খাল দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান শুরু করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলমান অভিযানে মঙ্গলবার খাকদোন নদী একটি অংশে এ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
এসআরএস