ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারী জয়কালী মন্দিরের পাশে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী সুইপার কলোনিতে আগুনের ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন দগ্ধ স্ত্রী শান্তি রানি দাস (২৭)।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, আজ সকালে শান্তি রানি মারা গেছেন। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিলো। সেখানে তিনি মারা গেছেন। এরআগে শুক্রবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে মারা যান তার স্বামী ৪০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া রাজু বসাক (৩৬)।
গত সোমবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস থেকে ৭ মিনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দগ্ধ ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দগ্ধরা হলেন রাজু বসাক (৩৬), তার স্ত্রী শান্তি রানী দাস (২৭), রাজুর মা কান্তা রানী (৬০), দুই ছেলে কৃষ্ণ দাস (৭) ও লক্ষণ দাস (৩)। আর প্রতিবেশী গীতা রানী দে (৬৫) ও আফজাল (৫২)। তাদের মধ্যে রাজু ও তার স্ত্রী শান্তির রানী মারা গেছেন।
দগ্ধ রাজুর ভাতিজা হেরাম শেট্টি শিবা জানান, তারা সুইপারের কাজ করেন। থাকেন ওয়ারী জয়কালি মন্দির সংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে কলোনিতে। ওইদিন ভোরে সেখানে আগুন লাগার পর তারা দগ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কিছুদিন আগে কলোনির ঘরগুলোর মাটির নিচে ওয়াসা তাদের লাইন মেরামতের কাজ করে। এরপর থেকে রাজুর ঘরে নিচ থেকে গ্যাস বের হতো। গ্যাসের প্রচুর গন্ধ বের হতো। সে গ্যাস থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা তার।
আরও পড়ুন: কাপ্তান বাজার কলোনিতে আগুনে দগ্ধ ৭
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ