ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে ইউটার্ন বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া 

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে ইউটার্ন বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া 

ঢাকা: রমজানে অসহনীয় যানজট কমাতে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ধানমন্ডির পিলখানা গেট থেকে ২৭ নম্বর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত সাত মসজিদ রোডের একাধিক ইউটার্ন বন্ধ করে দিয়েছে।

শুধুমাত্র ইউটার্ন রয়েছে বাংলাদেশ রাইফেলসের পিলখানা গেট, আ. লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় সংলগ্ন ধানমন্ডি ৩-এর মুখে, ১২-এর আবহনী মাঠের নিকটে ও ২৭ নম্বরে স্টেট ইউনিভার্সিটি মোড়ের মুখে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) সাত মসজিদ রোডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পিলখানা মোড় ও আ. লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় সংলগ্ন ধানমন্ডি ৩-এর মুখে যানজট লেগে থাকলেও বাকি অংশে যানজট মুক্ত।  

বাংলানিউজের এ প্রতিবেদক মিডলাইন পরিবহনের একটি বাসে বেলা ২ টা ৫০ মিনিটে সিটি কলেজ মোড় থেকে পৌঁছে বাসে উঠে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে পৌঁছান ৩ টা ১৭ মিনিটে। অর্থাৎ তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগেছে ২৭ মিনিট।

অন্যদিকে ফিরতি পথে মিডলাইন পরিবহনের অন্য একটি বাসে ৩ টা ২০ মিনিটে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড় থেকে উঠে সিটি কলেজ মোড়ে পৌঁছান ৩ টা ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ ফিরতি পথে সময় লেগেছে ২০ মিনিট।  

এ রোডে চলাচলকারী যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই তিন কিলোমিটার রাস্তা পার হতে পিকটাইমে আগে সময় লাগতো ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। কারণ ২ নম্বর থেকে ২৭ নম্বর প্রতিটি সড়কের সামনেই ইউটার্ন নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। ফলে ইউটার্নগুলোতে জ্যাম লেগে থাকতো।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকার বাসিন্দা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রোডে যত্রতত্র ইউটার্ন বন্ধ করায় যানজট কমেছে। তবে রাস্তায় পার্কিং করার ফলে ১-২ লেন সবসময় বন্ধই থাকে। ফলে যানজট পুরোপুরি কমছে না।

এই এলাকার অন্য বাসিন্দা সাইফুল ইসলামও জানালেন ইউটার্ন বন্ধ করায় কমেছে যানজট।  

তিনি বলেন, যানজট কমলেও যারা ৫,৬,৭ ও ৮ নম্বর রোডে থাকেন তাদের সায়েন্স ল্যাব বা জিগাতলা আসতে দীর্ঘপথ ঘুরে এসে ইউটার্ন নিতে হয়।  

ইউটার্নেও সমাধান আসছে না যে কারণে-

যানজট কমাতে ইউটার্ন বন্ধ করা হলেও সমাধান আসছে না মূলত তিনটি কারণে। এক. পার্কিংয়ে রাস্তা দখল, দুই. ইউটার্ন যেখানে করা হয়েছে সেখানকার রাস্তা প্রশস্ত নয়, তিন. প্রধান রাস্তা হওয়া স্বত্তেও ধীরগতির রিকশার আধিক্য।

শাহরিয়ার হোসেন নামের ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের বাসিন্দা বলেন, এখন প্রাইভেটকারে জিগাতলা বা সায়েন্স ল্যাব যেতে আবাহনী মাঠ থেকে ইউটার্ন নিয়ে আসতে হয়।  

এছাড়া যেসব জায়গায় ইউটার্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কোথাও সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি। ফলে ইউটার্ন কোনো উপকারে আসছে না।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এনবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।