ঢাকা: বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আবারও দোকান খুলবেন সেই অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। বর্জ্য অপসারণ শেষে বুধবার খোলা মাঠে চৌকি বসানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস বাস্তবায়নে কাজ করছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
ইতোমধ্যে এক তৃতীয়াংশ জায়গায় বালু ফেলে বিছানো হয়েছে ইট। পুরো কাজ শেষ হলে এই খোলা স্থানে চারটি মার্কেটের মোট দুই হাজার ৯৬১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বসার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে বঙ্গবাজার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে, কর্পোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবাজার একালার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্থলে ঘুরে নতুন করে ব্যবসায়ীদের জন্য জায়গা প্রস্তুতির এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সিরি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বঙ্গবাজারের ১.৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত ১০৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনো বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতে পারলেও আর্থিক সহায়তা পেয়ে কিছু মালামাল নিয়ে আপাতত বসতে পারলে অন্তত সংসার চালাতে পারবেন তারা। আগুনে হারিয়ে যাওয়া ক্রেতাদের আবার ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বঙ্গবাজার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেছেন, চারটি মার্কেটে দুই হাজার ৯৬১ জনের তালিকা সিটি মেয়রকে দেওয়া হয়েছে। সবাই খোলা মাঠে দোকান পাবেন। বুধবারের মধ্যে তা প্রস্তুত করা হবে। পাশাপাশি বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি পঞ্চাশ হাজার টাকার অনুদান পাওয়া গেছে।
তবে, মালামাল কেনার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের কোনো আর্থিক সহায়তায় আপাতত দিতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএস