ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভবনে রঙের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রঙমিস্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
ভবনে রঙের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রঙমিস্ত্রী

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আদর্শবাগ এলাকায় ভবনে রঙের কাজ করার সময় বকুল মিয়া (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

বকুল মিয়ার বাড়ি নরসিংদির রায়পুরা উপজেলায়। দুই ছেলেসহ পরিবার নিয়ে খিলগাঁওয়ের গোড়ান বাজার মাদানি ঝিলপাড় এলাকায় থাকতেন। মূলত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

হাসপাতালে তার ছেলে মো. সুজন মিয়া জানান, নিজের অটোরিকশা চালাতেন তার বাবা বকুল মিয়া। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে তাকে রিকশা নিয়ে বের হতেও দেখেন তিনি। তবে বিকেল ৩টার দিকে খবর পান, আদর্শবাগ এলাকায় একটি ভবনে রঙের কাজ করার সময় সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার বাবা।

হাসপাতালে আরেক রঙমিস্ত্রী মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে বকুল মিয়া তাকে বলেন, গরমে অস্থিরতা কাজ করছে তার শরীরে। দুইদিন ধরে বুকও ব্যথা ব্যথা করছে। রোদে অটোরিকশা চালাতে কষ্ট হয়। তার সঙ্গে রঙের কাজ করতে চান। সেই সুবাদে অটোরিকশা রেখে এসে বেলা ১১টার দিকে তার সঙ্গে খিলগাঁও আদর্শবাগ তিতাস রোডে একটি ৬ষ্ঠতলা ভবনের রুমে রঙ করার কাজ শুরু করেন। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বকুল মিয়া। তখন তার মাথায় পানি ঢালা হয়। তবে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢামেকে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন স্বজন ও সহকর্মীরা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এজেডএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।