ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে নিম্নবিত্তের প্রাণের বাজার ফুটপাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে নিম্নবিত্তের প্রাণের বাজার ফুটপাত

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। সাধ্যের মধ্যে ভালো কিছু কিনতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা ছুটে আসছেন রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

 

নববর্ষের প্রথম দিন হওয়ায় সকালের দিকে ভিড় একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাতগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মিরপুরের ২, ১০ ও ১১ নং সেকশনের মূল সড়কের পাশের ফুটপাতগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিড় অনেকটা বেশি বলেই জানিয়েছেন বিক্রেতারা।  

ঈদকে কেন্দ্র করে মিরপুরের হোপ মার্কেটের ফুটপাতের দু’ধারের সারি সারি দোকানের সরু সরু পথগুলো ক্রেতা সাধারণের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। এ যেন নিম্ন আয়ের মানুষের প্রাণের বাজার বলে জানালেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।  

তারা জানান নিম্নবিত্ত মানুষের কেনাকাটার ভরসা স্থল ফুটপাত। এখানে ক্রেতারা পণ্য কিনতে আসেন, যারাই আসছেন কম বেশি পণ্য কিনে বের হচ্ছেন।  

এব্যাপারে ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা আশিক আহমেদ বলেন, ঈদে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে রাজধানীর দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন এখানে শত শত মানুষ আসছেন। আমাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে কাপড়ের দাম বাড়ায় মানুষের চাহিদা আগের চেয়ে কমেছে। অনেক পরিচিত ক্রেতাই আগে যেভাবে কাপড় কিনতেন তারা এবার কম কিনছেন।  

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় আমরা অনেক ভালো বেচা-বিক্রি করেছি। এবছর বেচাকেনা ভালো হলেও সেই সময়ের মতো হচ্ছে না। তবে এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি। আশা করছি বিক্রি আরো বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

গত দুইদিন ধরে বিক্রি বেড়েছে এবং সামনের দিনগুলো এ প্রবাহ আরও বাড়বে বলে জানালেন মিরপুরের ১০ নং সেকশনের ফুটপাতে রেডিমেড কাপড় বিক্রেতা ইউসুফ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মার্কেটের চাইতে এখানে পণ্যের দাম যেমন কম তেমনি এক্সপোর্ট আইটেম জিন্স প্যান্ট, সার্ট, টি-সার্টসহ রকমারি আইটেম ক্রেতা তার পছন্দমত বেছে নিতে পারেন।  

তিনি উল্লেখ করেন, ঈদে জিন্স প্যান্ট, জিন্স শার্ট, টি শার্ট, বাচ্চাদের সব ধরনের কাপড়, মহিলাদের শাড়ি, মেয়েদের জন্য রকমারি সালোয়ার কামিজ, ফ্রগ, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, পলো শার্ট, শার্ট, এক্সপোর্টের টুইল প্যান্ট ও শার্ট, স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের কেইডস, ব্যাগ ও মহিলাদের প্রসাধনীসহ সব ধরনের প্রয়োজনী পণ্য এখানে পাওয়া যায়।

স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের প্রধান কেনাকাটার কেন্দ্রস্থল ফুটপাত বলে জানালেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোলায়মান মিয়া।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করলাম। পণ্যের মানও ভালো, তবে গতবছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি। গত বছর যে প্যান্ট ৪০০ টাকায় কিনেছি এবার সেটা ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হলো।  

ক্রেতাদের ভিড়ে দেখে বিক্রেতারা সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।
 
মিরপুর হোপের সামনে ফুটপাতে  ঈদ কেনাকাটা করতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, পরিবারের জন্য ঈদের কাপড় কিনতে এসেছি। দাম কম এবং পছন্দমত কাপড় পাওয়া যায় এখানে। এ জন্য প্রতিবছরই পরিবারের বেশিরভাগ পণ্যই এখান থেকে কিনি। শুধু তাই নয় এখান থেকে মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রী অনেক কম মূল্যে ক্রয় করলাম।  

সবকিছুরই দাম বেড়েছে, তাই কাপড়ের দাম বাড়াটা অস্বাভাবিক নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ঈদকে কেন্দ্র করে পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি দাম বাড়লেও সাধ্যের মধ্যে ফুটপাতে এসে সাধ পূরণের সুযোগ পাওয়ায় ক্রেতাদের চোখে মুখেও আনন্দ দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এসএমএকে/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।