ঢাকা: এবারের ঈদুল ফিতরে যারা টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন, ট্রেনে তাদের যাওয়া-আসা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশিরভাগ যাত্রী।
তারা বলছেন, ঢাকায় ফেরার সময় ট্রেন সময় মতো স্টেশন ছাড়লেও, মাঝপথে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় ঢাকা পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঈদের চতুর্থ দিনে ঢাকা ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
এদিন রাজধানীর কমলাপুরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ১৫টি ট্রেনে আসা যাত্রীরা অনেকটা স্বস্তিতেই ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
গেল ঈদুল ফিতরে মানুষের টিকিট সংগ্রহে ভোগান্তি কমাতেই এবার প্রথমবারের মতো শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১০ দিন আগেই বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট। প্রধান প্রধান স্টেশনগুলোতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থাও।
এদিন (২৫ এপ্রিল) সকালে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে করে আসা পলাশ নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, টিকিট আগেই অনলাইনে পেয়েছি। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছেড়েছে। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই ট্রেনে ঢাকায় ফিরেছি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে করে ঢাকায় ফেরেন সোহেল রানা নামের এক যাত্রী। পথে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনের ভেতর কোনো ভিড় ছিল না। স্বাভাবিক যাত্রী নিয়েই ট্রেন আসছে। এবারই প্রথম ঈদে বাড়ি যেতে-আসতে কোনো ভোগান্তি হয়নি। টাঙ্গাইল থেকে সঠিক সময়েই ট্রেন ছেড়েছে। মাঝে একটা ক্রসিংয়ের জন্য ১০-১৫ মিনিট দেরি হয়েছে। এছাড়া কোনো ঝামেলা হয়নি; স্বস্তিতেই ঢাকা ফিরেছি।
কমলাপুরে বেশিরভাগ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যবার যেসব যাত্রী ট্রেনের টিকিট কেটেছেন, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় তাদের সিট পর্যন্ত যেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেকে টিকিট থাকা সত্ত্বেও সিটে বসতে পারেন নি। কিন্তু এবার তেমন কিছুই হয়নি। বিনা টিকিটে কেউ স্টেশনে ঢুকতে না পারায়, স্বস্তিতেই ঢাকা ফিরেছেন টিকিটধারী যাত্রীরা।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা) দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ৬টি লোকাল ও ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সারাদিনে ঈদ স্পেশালসহ ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
ইএসএস/এনএস