ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় এসএস এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি অফিস থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা চুরি করেছে কে বা কারা। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ প্রথম প্রথম ব্যাপক আগ্রহ দেখায়।
মিরাজ বলেন, টাকা চুরির ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় অভিযোগের সময় পুলিশের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। পরে আমি মামলা করি। কিন্তু এ এখন পুলিশ আসামি ধরতে গড়িমসি করছে।
এপ্রিলের প্রথম শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টের ৮ নম্বর রোডের ২০০ নম্বর বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট ব্লক-ডি’তে অবস্থিত এসএস এন্টারটেইনমেন্ট’র কার্যালয়ে চুরির ঘটনাটি ঘটে। পরে গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শেখ ওসমান গনি আল মিরাজ। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা দুজনকে।
চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও রয়েছে বাংলানিউজের হাতে। এতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি এসএস এন্টারটেইনমেন্ট’র কার্যালয়ে আসবাব পত্রে কিছু একটা খুঁজছে।
মামলার এজাহারে মিরাজ বলেছেন, ঘটনার আগের রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি অফিস বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে তার সহকর্মী আনোয়ার শাহাদাত অফিসে যান। তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। বিষয়টি তিনি মিরাজকে জানান। এরপর আনোয়ার শাহাদাতের উপস্থিতিতে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় অফিসের দরজা ভাঙা হয়। ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন দুটি রুমের মালামাল এলোমেলো ও অফিসের ভ্যান্টিলেটর ভাঙা।
তিনি আরও বলেন, পরে আমি অফিসে গিয়ে দেখি আমার রুমের টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভাঙা; যার মধ্যে রাখা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেগুলো নাই। পাশের রুমের ওয়াল ক্যাবিনেটের তালা ভাঙা, যার মধ্যে রাখা ছিল নগদ ৭ লাখ টাকা। সেগুলোও নাই। সর্বমোট নগদ ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৭ এপ্রিল রাত প্রায় ২টা ৩০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা দুজন চোর আমার অফিসের ভ্যান্টিলেটর ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
বাংলানিউজকে শেখ ওসমান গনি আল মিরাজ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছিল না। অনেক চাপাচাপির পর হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশের ভাষ্য, চোর কোথায় পাব?
মিরাজের অনুযোগ, আসামি ধরা পরলেও জানতে পারব? মনে হয় না। ছোট-ছোট অপরাধকে কি পুলিশের অপরাধ মনে হয় না? আসামি ধরতে থানার পুলিশরা খুবই নীরব। আমি অন্তত ১০ বার থানায় গিয়েছি।
পুলিশ নীরব কিনা, এ প্রশ্নের জবাব না দিলেও হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেছেন, তারা আসামি ধরার চেষ্টা করছেন। তার ভাষ্য, ওই অফিসে চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি। চোরেরা একটি টাকার বান্ডিল নিয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরির মামলা দিয়েছেন। আমরা আসামি ধরতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
এমএমআই/এমজে