শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরে জহুরা বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ১টার দিকে কোস্টগার্ডের মিডিয়া সহকারী রুবেল পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জহুরা বেগম গোসাইরহাটের কুচাইপট্টিতে তার স্বামী জহিরুলের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।
কোস্টগার্ড মিডিয়া ও গোসাইরহাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট-ঢাকা রুটটি দিয়ে গোসাইরহাটসহ বরিশালের মুলাদী অঞ্চলের যাত্রীরা যাতায়াত করেন। গোসাইরহাটের মিত্রসেন পট্টির লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ঈগল-৩ লঞ্চ থেকে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন জহুরা বেগম। নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার বলেন, লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া নারী একটি চরে আটকে ছিলেন। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরা বেগম জানিয়েছেন, তিনি পানের সঙ্গে সুপারি-জর্দা বেশি খাওয়ার কারণে মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যান। তিনি পড়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী জহিরুল ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বামী ও সন্তান জানতে পেরে সবাইকে জানান। এরপরই তাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
আরএ