ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে (২২) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইলে সেই ভিডিও ও ছবি ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (৭ মে) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার (৬ মে) রাতের এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।  

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. সোহেল (৩০)। তিনি উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নতুন বাড়ির সাহাব উদ্দিন সরদারের ছেলে এবং ভিকটিমের স্বামীর বন্ধু।

ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ৪ লাখ টাকা দেন মোহরে ভিডিও কলে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

ভিকটিমের স্বামী নিজে প্রবাসে থাকায় তার কথিত বন্ধু অভিযুক্ত সোহেলের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন বাজার-সদাই করে দিতেন। এ সুযোগে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্তের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে, সেখানে ওঁত পেতে থাকা সোহেল তাকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।  

এদিকে, ভিকটিমকে উদ্ধারে তার পরিবার অপহরণকারীর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে শনিবার (৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণকারী সোহেল ভিকটিমকে বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত সোহেল এর আগেও ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছেন। পাশাপাশি ভিকটিমকে তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলা এবং শারীরিক সম্পর্ক বজায় না রাখলে মোবাইলে থাকা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেন অভিযুক্ত।  

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।