ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুকুর পাড়ে মিলল কারামুক্ত বাবার মরদেহ, ছেলে আটক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
পুকুর পাড়ে মিলল কারামুক্ত বাবার মরদেহ, ছেলে আটক 

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় আজিজুল আলম আসতুল (৫৭) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

শুক্রবার (১২ মে) সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত আজিজুল আলম আসতুল উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।

পরে এদিন (১২ মে) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মৃতের ছোট ছেলে সনিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তার কাপড়ে রক্তের দাগ পাওয়া যাওয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ মে) সকালে একই গ্রাামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় আজিজুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে লোকজনকে খবর দেন। স্থানীয়রা গিয়ে মরদেহটি আজিজুল আলম আসতুলের বলে শনাক্ত করেন।

পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর দুপুরে তার মরদেহ বাঘা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আজিজুল আলম আসাতুল নিজের স্ত্রী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম তার স্ত্রী পারুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন। ২২ বছর সাজা খাটার পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।  

এরপর করোনার সময় সরকারের বিশেষ বিবেচনায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তারপর বাড়ি ফিরেও মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতেন। এ অবস্থায় নিহতের দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেন বাড়িতে তাকে শিকলবন্দী করে রাখতেন। কয়েক দিন আগে ঘরের জানালা ভেঙে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। এরপর থেকে রাস্তাতেই থাকতেন। এমন অবস্থায় আজ শুক্রবার (১২ মে) তার মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, মরদেহের মাথা, মুখ, চোখ, গলাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তাই তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছেলে সনিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান বাঘা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।