ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোখার প্রভাবে জেলে ও ট্রলার মালিকদের ক্ষতি অর্ধশত কোটি টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
মোখার প্রভাবে জেলে ও ট্রলার মালিকদের ক্ষতি অর্ধশত কোটি টাকা

বরগুনা: সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করা জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শুরুর বাকি মাত্র কয়েকদিন।

এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের পর অনুকূল আবহাওয়া থাকার পরও সাগরে মাছ শিকারে যাবেন না তারা।

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ৫০ হাজার জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩৭ হাজার। ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সব ধরনের মাছ ধরা ট্রলার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিল বরগুনার প্রায় দুই হাজার মাছ ধরা ট্রলার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তড়িঘড়ি করে তীরে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। এতে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তারা। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি মৎস্যজীবী নেতাদের।

কইয়ুম নামে এক জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে সাগরে মাছ শিকারে যে ক'দিন সুযোগ পাবেন তাতে লাভতো হবেই না, উল্টো ভারি হবে লোকসানের বোঝা।

মেসার্স এবি এম বোটের মাঝি হুমায়ুন কবির জানান, আগামি ২০ মে থেকে শুরু হবে সমুদ্রে ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের পর অনুকূল আবহাওয়া থাকার পরও মাছ শিকারে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় এখন আর সমুদ্রে যাবেন না তারা।

মেসার্স নূরজাহান ফিসিং বোর্টের মালিক আব্দুল আজিজ খান বলেন, আমার দুইটি ট্রলার মাছ ধরার জন্য সাগরে ছিল। কিন্তু হঠাৎ দুর্যোগের কারণে কূলে ফিরে আসতে হয়েছে। এতে আমার কয়েক লাখের বেশি টাকা ক্ষতি হবে। এর ভেতরে আবার নিষেধাজ্ঞা কিভাবে সংসার চালাবো বুঝে উঠতে পারছি না। সরকারের কাছে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে জেলে ও ট্রলার মালিকদের। জেলে ও ট্রলার মালিকরা যাতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরেন এ জন্য নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।