ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গভীর রাতে শাবিপ্রবির ক্যানসার শনাক্তকরণ ল্যাবে আগুন

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
গভীর রাতে শাবিপ্রবির ক্যানসার শনাক্তকরণ ল্যাবে আগুন

শাবিপ্রবি (সিলেট): গভীর রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্যানসার শনাক্তকরণ 'নন লিনিয়ার অপটিক্স' ল্যাবে আগুন লেগেছে।  

নিরাপত্তাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, রাতে ল্যাবে এসি চালু ছিল, হয়তো অফিস বন্ধ হওয়ার পরেও কেউ সেটা বন্ধ করে যায়নি।

রাতে বজ্রপাত হওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাভবন 'এ' এর নিচতলার ১২৭ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে গোল চত্বরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে এ বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আগুন দেখি, সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করি। পরে তারা জানালার কাঁচ ভেঙে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে ল্যাবের দরজা লক থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি তারা। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নন লিনিয়ার অপটিক্স ল্যাবটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট। এতে সামনের কক্ষে কয়েকটি কম্পিউটার ডেস্ক, পেছনের কক্ষে ক্যানসার ডিটেকশন যন্ত্রপাতি রয়েছে। আগুনে সামনের কক্ষে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত একটি যন্ত্র অর্ধেক, বৈদ্যুতিক বাতি, কয়েকটি ক্যাবল ও ডেস্ক পুড়ে গেছে। তবে পেছনের কক্ষে যন্ত্রপাতির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে চলে আসি। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, পরিস্থিতিও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।

তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি সিভিল ডিফেন্সের এ কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখন বলা যাচ্ছে না। বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা তা বলতে পারবেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইলেক্ট্রিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ধারণা করছে রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ আপ-ডাউন করায় ল্যাবে থাকা এসি কিংবা টিউব লাইট ব্লাস্ট হয়ে আগুন লেগেছে। এতে আমাদের কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করেছি, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ল্যাবের কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ড. জাফর ইকবালের সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে কম খরচে এবং সহজে ক্যানসার শনাক্তকরণ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন এক দল গবেষক। তখন থেকে নন লিনিয়ার অপটিকস ল্যাবটি ক্যানসার শনাক্তকরণ ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে গবেষণার কাজে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ল্যাবটি ব্যবহার করছেন বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।