ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাছ কাটার প্রতিবাদে ডিএসসিসি অভিমুখে যাত্রায় পুলিশের বাধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
গাছ কাটার প্রতিবাদে ডিএসসিসি অভিমুখে যাত্রায় পুলিশের বাধা

ঢাকা: ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের সড়ক বিভাজক সম্প্রসারণের জন্য গাছ কেটেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপর ওই এলাকার সড়কের বিভাজক (মিডিয়ান) সজ্জিত করা হয় বিভিন্ন রকমের বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়ে।

রঙ্গণ, কামিনী, বাগান বিলাস, চন্দ্রপ্রভা (টেকোমা) ও কাঞ্চন ফুলে সাত মসজিদ সড়কের বিভাজককে সাজিয়ে তুলতে এসব ফুলের গাছ লাগায় তারা।

এদিকে গাছ কাটার শুরু থেকে প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছিলেন শিশু, তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক-চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, পরিবেশপ্রেমী ও সংস্কৃতিকর্মী। এর সঙ্গে বিভাজকগুলোতে আগের মতো বৈচিত্র্যময় দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা না লাগিয়ে ফুলের গাছ লাগানোরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২১ মে) নগর ভবন সামনে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় আন্দোলনকারীদের। তাদের দাবি মেয়র বা ডিএসসিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের তাদের সামনে এসে জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে গাছ কাটা বন্ধসহ নতুন করে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে।

এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্ত্বর থেকে গাছ কাটার প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে নগরভবন অভিমুখী রওনা দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সেখানেই তারা অবস্থান নেন। এর প্রেক্ষিতে প্রায় ঘন্টাখানেক পর ডিএসসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি শোনেন এবং এসব দাবি পূরণের জন্য মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথা বলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এসময় সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন থেকে দাবি জানানো হয় যে, ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কসহ ঢাকার পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্র্যময় দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা লাগাতে হবে; জনগণের করের টাকায় একবার গাছ লাগানো এবং আরেকবার গাছ কেটে আবার গাছ লাগানোর নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে অর্থ আত্মসাতের গাছ-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবাসীবান্ধব সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।

এসব দাবির শোনার পর ডিএসসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজে কিছু গাছ কাটা পড়েছে। নগরের যে কোনো উন্নয়ন কাজ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়। যেসব গাছ কাটা হয়েছে সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো হবে। এছাড়া আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো মেয়রকে জানাননো এবং পরবর্তীতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে  কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার পর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আমিরুল রাজিব বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি। কিন্তু কোনো উস্কানি ছাড়াই পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করে আমরা গণমাধ্যমে জানাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।