ঢাকা: মিয়ানমার সীমান্তে শক্তি বাড়ানো হবে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আরও সতর্ক প্রহরায় থাকতে বলা হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয় ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে আরও সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হবে এবং মিয়ানমার সীমান্তে বিজিকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যাতে নতুন করে সে দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে চৌকি ও বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) বাড়ানো হবে। বিজিবিকে শক্তিশালী করতে যা যা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা বেগবান করতে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের স্বাস্থ্য, জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার-পরিকল্পনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিয়ে আলাপ হয়েছে। সীমান্তে নাফ নদীতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরেন। সে কারণে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আইসের একটি চালান ধরা পড়েছে। একটি চালান আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে পেয়েছি। সে কারণে ক্যাম্পে ক্যাম্পে যৌথ টহল ও তল্লাশি করা হবে। সীমান্ত দিয়ে যাতে মাদক আসতে না পারে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। নতুন প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হবে।
আর এ কারণেই মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনবোধে সেনাবাহিনীকেও ডাকা হবে। কোনোক্রমেই মাদকের ব্যবসা সেখানে হতে দেওয়া হবে না। সেখানে যাতে রক্তপাত না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কিছু সংখ্যক দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে, সবাই না। কিন্তু এটা কেটে যাবে। কিন্তু আর কত দীর্ঘ সময় তাদের আমরা রাখব। আমরা চাই তারা নিজ দেশে ফিরে যাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ২৩,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড