ঢাকা: গত ১৪-১৫ বছর ধরে গোটা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুব ভালো বলে উল্লেখ করেছেন কৃষি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘হাথওয়ে টু প্রোসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপকূলীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে শস্য উৎপাদনের পরিবেশ প্রতিকূল। আমাদের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চল। তারা সারা বছরে একটিমাত্র শস্য উৎপাদন করতে পারে। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ভূমি অনাবাদি থাকে। হাওড়া অঞ্চলেও বছরে একটি ফসল উৎপাদন হয়। তারা বন্যা, খরা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার।
লবণাক্ততা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটিমাত্র ফসল উৎপাদন ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ জমি সারা বছর অনাবাদি থাকে। তা সত্ত্বেও গত ১৪-১৫ বছর ধরে সারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুব ভালো হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখনো বাংলাদেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জনগণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং গ্রামে বসবাস করে এবং তাদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে কৃষিকাজ। সমতল ভূমিতে আমরা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। ২০০৮/০৯ সালে দেশে মোট শাকসবজি উৎপাদন হয় তিন মিলিয়ন টন। চলতি বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমরা ২২ মিলিয়ন শাকসবজি উৎপাদন করেছি। ১৩ বছরে আমরা শাকসবজি উৎপাদন ১৯ মিলিয়ন বাড়িয়েছি। আমাদের জনগণ শাকসবজি খেতে শিখেছে। যদিও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনো অপুষ্টিতে ভুগছেন।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট ডিভিশনের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
এর আগে সূচনা বক্তব্য দেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমীতা হালদার এনডিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
আরকেআর/এনএস