ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুগল থেকে তথ্য পেয়ে যৌন নিপীড়নকারীকে গ্রেপ্তার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
গুগল থেকে তথ্য পেয়ে যৌন নিপীড়নকারীকে গ্রেপ্তার

ঢাকা: গুগল থেকে তথ্য পেয়ে মো. ইনজামুল ইসলাম (২৬) নামে ভয়ঙ্কর এক শিশু যৌন নিপীড়নকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুরের ১০ বছরের কম বয়সী একাধিক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ রয়েছে ২৬ বছরের তরুণ মো. ইনজামুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি যৌন নিপীড়নের সেই দৃশ্যগুলো ভিডিও ধারণ করে রাখেন নিজের মুঠোফোনে। পরে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল এ তথ্য পৌঁছে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) কাছে। তারা এ তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সকে জানায়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ বিষয়ে সিআইডিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানপূর্বক ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তরুণকে শনাক্ত করে।  

বুধবার (৩১ মে) সিপিসির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্টের একটি বিশেষ টিম গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ভবানীপুরে বানিয়ার চালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. ইনজামুল ইসলামকে আটক করে।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে আজাদ রহমান আরও জানান, যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুগুলো অভিযুক্তের নিকট আত্মীয়। ২০১৯ সালে তিনি এক নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে প্রথম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। প্রতিনিয়ত শারীরিক সম্পর্ক করার এক পর্যায়ে একদিন তার ওই নিকট আত্মীয়ের মেয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে। অভিযুক্ত ইনজামুল ইসলাম তার ওই নিকট আত্মীয়ের মেয়ের (১০) সঙ্গেও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন।

পরে নিকট আত্মীয়ের মেয়েকে আরও প্রলোভন দেখিয়ে তার অন্য বান্ধবীকে এনে যৌন নিপীড়ন করার পাশাপাশি তাদের যৌন নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন এবং সেগুলো তার মোবাইল ফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখেন বলেও জানান সিআইডির এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তার আরও নিকট আত্মীয়সহ অনেকের নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং চাইল্ড পর্নোগ্রাফির প্রচুর কন্টেন্ট পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শিশুদের যৌন নিপীড়নের কথা স্বীকার করেন।  

আজাদ রহমান আরও জানান, অভিযুক্ত ইনজামুল ইসলাম প্রথমে গ্রামের শিশু-কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে ভিডিও কনটেন্ট গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতেন ।  

এসব ঘটনায় আসামির নামে রাজধানীর পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এমএমআই/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।