মানিকগঞ্জ: বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর পাওয়া সরকারি ঘর (বীর নিবাস) থেকে মাকে পিটিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ জুন) মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা।
অভিযুক্ত ছেলের নাম মহিউদ্দিন (৪৫)। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনির বড় ছেলে তিনি।
বৃদ্ধ বয়সে ঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে ঘটনার দিনই দুপুরে সাটুরিয়া থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার ভুক্তভোগী স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬৫)।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসি ইমাম আল মেহেদী।
তিনি বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, আমার বড় ছেলে মহিউদ্দিন আমার স্বামী জীবিত থাকাকালে আমাদের ভরণপোষণ দেয়নি বড় ছেলে মহিউদ্দিন। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতো। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ভাতার টাকা সে নিতে চাইতো। ওই টাকায় স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়েকে নিয়ে কোনোমতে জীবন চালাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরেই ভাতার টাকা চাচ্ছিল মহিউদ্দিন। টাকা না দেওয়ায় আজ সকালে আমাকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সাবেক সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাটুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক বলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনির বড় ছেলে মহিউদ্দিন তার মা ও বোনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনি পাটকলে চাকরি করতেন। চাকরি শেষে বাড়ি আসার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছোট ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে বাকি জীবন পার করেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তার বড় ছেলে (মহিউদ্দিন) কোন সময়ই বাবা-মার খোঁজখবর রাখেননি। এই মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারিভাবে একটি ঘর ( বীর নিবাস) নির্মাণ করে দেওয়া হয়। তিনি মারা যাওয়ার পর পরই মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও বীর নিবাস থেকে মাকে তাড়ানোর বিভিন্ন ফন্দি করতে থাকেন মহিউদ্দিন। আজ (৯ জুন) সকালে মাকে পিটিয়ে বেরে করে দেন তিনি। মা মরিয়মকে বের করে দেওয়ার সময় বোন জহুরা বাধা দিলে তাকেও মারধর করে মহিউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
এসএএইচ