নীলফামারী: উত্তরের চিলাহাটি-ঢাকা পথে নতুন চিলাহাটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। ট্রেনটিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা কমানোয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্নজন ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্টও দিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন হওয়ার দিন থেকে রেলওয়ের প্রজ্ঞাপনে সৈয়দপুরের জন্য শোভন চেয়ারের ৭৬টি, এসি চেয়ারের ৩০টি ও স্লিপারের ১২টি টিকিট বরাদ্দ ছিল। কিন্তু চালু হওয়ার পরই রেলওয়ের পরিবর্তিত আরেক প্রজ্ঞাপনে ৭৬টি শোভন চেয়ারের জায়গায় ৩৬টি, স্লিপার ১২টির জায়গায় আটটি করা হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দিনের বেলা আরেকটি ট্রেন বর্তমান সরকার চালু করায় এ জনপদের মানুষ আনন্দিত। বিশেষ করে সৈয়দপুর একটি শিল্প ও ব্যবসা সমৃদ্ধ শহর। তাছাড়া এখানে অনেক লোকের বাস। রাতে নীলসাগর এক্সপ্রেস ও দিনের বেলা চিলাহাটি চালু হওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে মানুষজনের অনেক সুবিধা হয়েছে। অথচ এ এলাকার গুরুত্ব অনুধাবন না করে ট্রেনের আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে।
পার্বতীপুর ও সান্তাহার রেলওয়ে জংশন হওয়ায় সেখানকার যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য অনেক ট্রেনের সুবিধা রয়েছে। অথচ পার্বতীপুরে শোভন চেয়ারের ৮২টি, এসি চেয়ারের ২৫টি ও স্লিপারের আটটি এবং সান্তাহারে শোভন চেয়ারের ১০৮টি, এসি চেয়ারের ২০টি ও স্লিপারের চারটি টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ট্রেনের আসন সংখ্যা আগের মতো রাখার জন্য রেলমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন সৈয়দপুরের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এসআই