জামালপুর থেকে: ‘আমার আব্বুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমার আব্বুর হত্যাকারী চেয়ারম্যান বাবুকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাত ১১টার দিকে বাবার মরদেহ বাড়িতে এনে হাও মাও করে কেঁদে কেঁদে তার বাবার সহকর্মীদের কাছে এসব কথা বলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া মেয়ে রাব্বিরাতুল জান্নাত।
তিনি বলেন, ‘আমার আব্বু মারা গেছে, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে কঠোর শাস্তি দেন আপনারা। যেন অন্য কোনো সাংবাদিক সত্য নিউজ করতে গেলে তাকে এমন হত্যার শিকার হতে না হয়। চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেক হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক। তারা যেন দেশ ছেড়ে যেতে না পারে। আপনাদের কাছে আমার দাবি।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাংবাদিকের মরদেহ রাতে তার নিজবাড়ি গরুহাটিতে নেওয়া হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের জামালপুর করেসপন্ডেন্ট ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
নাদিম হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত আরও নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
এসএফ/এসআই