ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্যোগ নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্যোগ নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশের সরকারের প্রতি দুষ্টু লোকদের বিদ্বেষ থাকতে পারে। ওই দুষ্টু লোকেরা দেশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে তাদের থেকে সাবধান থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩২-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, গুজবে কান দেবেন না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করবো। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রত্যেকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে। কোন ধরনের প্ররোচণায়, কোনো তাগিদে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করবো কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন কোনো বিদেশি শক্তির কাছে আপনারা পরাজিত হননি। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে এক হয়ে থাকলে বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো।

তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যাতে করে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। এতে দেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সমস্ত দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যে সমস্ত দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানাকার জনগণ কষ্টে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।