ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রী পূর্ণ হলেই ছাড়ছে লঞ্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
যাত্রী পূর্ণ হলেই ছাড়ছে লঞ্চ

ঢাকা: এক দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বেশির ভাগ মানুষই রাজধানী ছেড়েছেন।

ঈদের আগের দিনও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে সদরঘাটমুখী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ঈদের আগের দিন বুধবার (২৮ জুন) সকালে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চগুলো যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হাঁকডাক দিচ্ছেন।

যাত্রী এবং নৌযান সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যাত্রী পূর্ণ হলেই লঞ্চগুলো ছাড়ছে। তবে ঈদের আগের দিন হওয়ায় সকালে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। বিকেলে কিছুটা বেড়ে যাবে।

ঢাকা-মনপুরা-হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-১ লঞ্চের স্টাফ নাসির উদ্দিন জানান, তারা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রী পূর্ণ হলেই লঞ্চ ছেড়ে যাবে। গতকালের চেয়ে আজকে যাত্রী কম। বেশির ভাগই বাড়ি চলে গেছে। আজ সারা দিনই লঞ্চ চলবে।  

যাত্রীরা ঘাটে এসে গন্তব্যের লঞ্চ খুঁজছেন। তাদের টানতে ঢাকা-নাজিরপুর-বরগুনাগামী এমভি শাহরুখ-২ এর স্টাফ লঞ্চের সামনে পন্টুনে হাঁকডাক করছেন, ‘আসেন আসেন, কোনো টাইম নাই, ভরলেই ছাড়বে, ভরলেই ছাড়বে’।

সদরঘাটের বিভিন্ন লঞ্চের স্টাফরা জানান, কাচাকাছি দূরত্বের লঞ্চগুলো যাত্রী ভরলেই ছড়ে যায়। বেশি দূরত্বেরগুলো যাত্রী পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছেড়ে যাবে। অধিক দূরত্বের লঞ্চগুলো সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে যায়।

এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ঘাটে পৌঁছাতে অনেক যাত্রী ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। অনেকেই ভিজে গেছেন। কেউ কেউ পন্টুনে ছাউনির নিচে অবস্থান করছেন আর কেউ লঞ্চে অবস্থান করছেন।

নারায়ণগঞ্জ থেকে বরগুনা যাওয়ার জন্য আসা এক নারী যাত্রী কোলে শিশু নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই লঞ্চে ওঠেন। তিনি জানান, বাড়ি যাওযার জন্য তাড়াতাড়ি ঘাটে চলে এসেছি। আসার পথে বৃষ্টিতে ভোগান্তি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।