ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৬০ টাকা। সেই ৬০ টাকার টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে ৬০ টাকার টিকিট ২৫০ টাকায় কিনে হাতেনাতে দুজনকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। তার সঙ্গী ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন।
রোববার (০৯ জুলাই) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ অভিযান চালানো হয়।
ইউএনও জানান, এ জেলার বেশিরভাগ লোকজনই তিতাস কম্পিউটার ট্রেনে করে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয়রা অধিকাংশ টিকিট কালোবাজারিদের মাধ্যমে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি করান। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছদ্মবেশে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোরে রেলস্টেশনে যান। এরপর ইউএনও তিতাস ট্রেনের চিহ্নিত কালোবাজারি জুয়েলকে ফোন করে টিকিট কিনতে চাইলে জুয়েল জানান, যতগুলো লাগবে সব টিকিট তিনি ম্যানেজ করতে পারবেন, কিন্তু টিকিট প্রতি ২৫০ টাকা করে লাগবে। দরকষাকষির একপর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেন। এমন সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ইউএনও আরও জানান, তিতাস কাউন্টারের বিক্রেতা ফখরুল এ টিকিট অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থকে ঢাকার টিকিটের সমমূল্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নরসিংদীর মেথিকান্দা স্টেশনের হাতে লেখা টিকিট বিক্রি করছিলেন। এসময় তাকেও হাতেনাতে ধরা হয়।
এরপর সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জুয়েলকে (২৪) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কাউন্টারের বিক্রেতা ফখরুলকে (৫০) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায় এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
গত এপ্রিল মাসে একই কায়দায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। সেসময় চারজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
এসআই