ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বানৌজা শের-ই-বাংলা উপকূলে নিরাপত্তার সঙ্গে দুর্যোগে সুরক্ষা দেবে’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
‘বানৌজা শের-ই-বাংলা উপকূলে নিরাপত্তার সঙ্গে দুর্যোগে সুরক্ষা দেবে’ 

পটুয়াখালী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার সঙ্গে দুর্যোগের সময় জনসাধারণের সুরক্ষা দেবে। দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এই ঘাঁটি স্থাপনে একদিকে যেমন সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় নৌবাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তেমনি দেশের সার্বভৌমত্ব ও চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বানৌজা শের-ই-বাংলা এবং পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রন ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটির (এলসিইউ) কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আধুনিক ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি আধুনিক শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বিশেষায়িত ঘাঁটি সংযোজিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক শক্তিশালী ও সক্ষম নৌবাহিনী গঠনে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি নৌবাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপকূলীয় এলাকার দেশি ও বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য নিরাপত্তায় অত্র অঞ্চলে একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' বাস্তবায়নে এই ঘাঁটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।  

বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা, ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় গত ১৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে 'বানৌজা শের-ই-বাংলা’ ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করেছি।  

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর এম মহব্বত আলীর হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।

এছাড়াও খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রনগুলো হলো শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ, শহীদ আখতার উদ্দিন। আর চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) হলো বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইনের কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কমিশনিংয়ের পর এসব জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়।

নৌ-বহরে এসব জাহাজ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রাবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় উষ্ণ ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌসদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।  

আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল 'বানৌজা শের-ই-বাংলা' ঘাঁটিতে গড়ে তোলা হয়েছে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র।

অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক ভবন, এভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা সম্বলিত মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যান্স ওয়ার্কশপ।  

এছাড়াও ঘাঁটিতে এভিয়েশন সুবিধা এবং ভাইভিং স্যালভেল এর কমান্ডো পরিচালনা সম্বলিত ইউনিট, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে।

** উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।