ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে হবে ১০ কিমি দৈর্ঘ্যের ‘মেঘনা সেতু’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে হবে ১০ কিমি দৈর্ঘ্যের ‘মেঘনা সেতু’

চাঁদপুর : পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে হবে চাঁদপুর-শরীয়তপুরে মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত হবে প্রায় ১০ কিমি দৈর্ঘ্যের ‘মেঘনা সেতু’।

এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জি বলেছেন, যতটুকু সম্ভব পরিবেশ ও নদীর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে চাঁদপুর-শরীয়তপুরে মেঘনা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হবে।

আমরা সে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করছি। নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সে বিষয়টি আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আর এই কাজটি করার জন্য আমরা দুই জেলার অংশের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

‘শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষে জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় সেতু প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণের জন্য এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ড. সমর কুমার ব্যানার্জি বলেন, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরে পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণের জন্য অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর মধ্যে ইলিশ মাছকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। আমরাও আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। সবার মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে একটি গাইড লাইন তৈরি হবে। কীভাবে আমরা একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সেতু নির্মাণ করতে পারি সে বিষয়টিই সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটির (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জি, পরিবেশবাদী ডা. তাজুল ইসলাম, বিবিএ’র প্ল্যান প্রজেক্টের সমাজবিজ্ঞানী আইরিন নাহার, সামাজিক বাস্তুশাস্ত্রবিদ বশির আহমেদ, ডিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান।

এতে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ী, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খানসহ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মেঘনা নদীর ওপর এই সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শেষ হয়। কয়েক ধাপে হয় একই কাজটি। ওই বছর মে মাসজুড়েই শরীয়তপুর ও চাঁদপুর অংশে নদীর মাঝখানে এবং উপকূলে সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলীরা মাটি ও ভূগর্ভস্থ অবস্থা নির্ণয় সম্পন্ন করেন। ৩০ জুনের মধ্যেই এ সমীক্ষা রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।  

এরপর অর্থ বরাদ্দ এবং সেতু নির্মাণে সরকার অগ্রসর হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।