ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষোভ

সিলেট: সিলেটে ধীরগতিতে চলছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। এ বিষয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সিলেটের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। এসময় তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব এনামুল হাবিবের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, স্বাস্থ্য প্রকৌশল ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলীরা।

সভায় সিলেট-ঢাকা ৬ লেন, সিলেট-তামাবিল ৬ লেন সড়কের কাজের অগ্রগতি, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ওসমানী বিমানবন্দর থেকে চৌকিদিঘী রাস্তা ৪ লেনে উন্নীতকরণ, সিলেট শহরকে যানজটমুক্ত করতে রিং রোড স্থাপন পরিকল্পনা, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, সুরমা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্প, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পসহ সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রকৌশলীদের বক্তব্য শেষে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিলেটের জন্য বড় বড় প্রকল্প দ্রুত পাস হয়, অর্থও যথাসময়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হয় না। এটা খুবই দুঃখ ও হতাশাজনক।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া বক্তব্যে উঠে আসে- ২ হাজার ৩০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ এখন পর্যন্ত মাত্র ২২ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

নকশায় ভুল থাকায় তা সংশোধন করে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পটির পরিচালক জানান, পুরো কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর সময় বাড়াতে হবে।

এছাড়া ৪০৫ কোটি টাকা প্রকল্পের ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ের টেক্সিওয়ে শক্তি বৃদ্ধিকরণ কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

এ দুই প্রকল্পের অবস্থা জেনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।

মন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনা করে সিলেটজুড়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। বর্তমান সরকারের করা সব উন্নয়ন জনগণের মাঝে প্রচার করতে হবে। যাতে মানুষ সহজেই সেবা নিতে পারে।

তিনি বলেন, একসময় সিলেট-শিলচর বাস চলাচল করতো, এখন বন্ধ। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও স্থাপন করা গেলে দুই দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত উদ্যোগ নিন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল-কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এনইউ/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।