ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দ্রুত সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
দ্রুত সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবি ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন প্রাণ হারাচ্ছে। এই মৃত্যু রোধ করতে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অতি দ্রুত পাস করতে হবে।

আইনের সংশোধন যত বিলম্ব হবে, এই মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনও বাধাগ্রস্ত হবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।

সংস্থাটির স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াতে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আইনটিকে আরও কঠোর করবে। ফলে তামাকজনিত মৃত্যু কমবে, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করি। আইনটি সংসদে যেন দ্রুত পাস হয়, সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই উদ্যোগ নেব। আশা করছি আইনটি দ্রুত পাস হয়ে যাবে।

সংসদ সদস্য শিরীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে তরুণ সমাজ ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ভারতসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ এটি নিষিদ্ধ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটি নিষিদ্ধে আইন সংশোধন করেছে জেনে খুশি হয়েছি। ই-সিগারেট ও বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আইনটি যথা সম্ভব দ্রুত পাস হোক।

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এ আইনটি দ্রুত পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করা গেলে একদিকে অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবেন। অন্যদিকে, আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের তামাক পণ্য ব্যবহারের সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। পক্ষান্তরে তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।