পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল হকের ঘুষ দাবির একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।
ভাইরাল হওয়া অডিও সূত্রে জানা গেছে, একই মাদরাসার সভাপতি গাজী মো. মিজানুর রহমান ৫ শিক্ষকের উচ্চতর স্কেলের জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করতে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করছেন। এ সময় ওই শিক্ষকরাসহ ওই মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষক প্রতিনিধির সামনেই সেই কাজের পারিশ্রমিক বাবদ শিক্ষকদের কাছে সম্মানী দাবি করেন অধ্যক্ষ। এসব কথার এক পর্যায়ে সভাপতি ওই সম্মানীকে ঘুষ বলেন। তখন অধ্যক্ষ ওই কাজকে তার অতিরিক্ত কাজ দাবি করে তা ঘুষ নয় বরং পারিশ্রমিক হিসেবে ওই সম্মানী দাবি করেছেন বলে শোনা যায়।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষকে ফোনে করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে রেখে দেন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ৫-৬ জন শিক্ষকের উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির সময় অতিক্রম করেছে। তারা তাদের উচ্চতর স্কেলের জন্য জানালে বিষয়টির জন্য অধ্যক্ষকে নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বসা হয়। তখন অধ্যক্ষ ওই কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ওই টাকা দাবি করেন। বিষয়টি কোনো মাধ্যমে হয়ত রেকর্ড করে ছাড়া হয়েছে। অডিওটি শুনেছি। আমি ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাকে লজ্জা পেতে হচ্ছে।
ওই মাদরাসার ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষক বলেন, তাদের উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির সময় অনেক আগেই হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষকে বারবার তাগিদ দিয়েও অধ্যক্ষ তার সম্মানী পেতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিলম্ব করছেন। আমরা নিরুপায় হয়ে সভাপতির কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. সঞ্জীব দাশ জানান, বিষয়টি অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
এফআর