ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) খরমপুর রেলব্রীজ সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে শুকুর মিয়াসহ (৬০) আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের পৌরশহরের খরমপুর রেলব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুকুর মিয়া নরসিংদীর মাধবী থানার দোয়ারি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে। অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ওরশ উপলক্ষে খরমপুর মাজারে আসা লোকজন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস যাওয়ার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেনের সংকেত দেন। তখন পারপারকারীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে। তবে অজ্ঞাত আরও দুইব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এফআর